#TrinomoolTaliban: এমনটাই ফেসবুকে ট্রেন্ড চালাচ্ছেন এক বিজেপি বিধায়িকা

ডেস্ক: কোরোনা, জলবায়ু পরিবর্তন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি ধামা চাপা পড়ে উপড়ে এসেছে তালিবানি ত্রাসের নানান খবর। বর্তমানে যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন আফগান বাসিরা তা অত্যন্ত মর্মান্তিক।

কিন্তু তালিবানরা আসল সন্ত্রাসবাদি হয়েও যত না কটাক্ষের শিকার হচ্ছে তার থেকে বেশি কটাক্ষের শিকার হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যে আইনের শাসন নেই বলে অভিযোগ তুলে মমতা সরকারকে তালিবানরা যে সঙ্গে তুলনা করেছেন বিজেপির একাধিক নেতা নেতৃত্ব। শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য শাসন ব্যবস্থাকে ‘তালিবান 2.O’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন।

এবারে আরও এক বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পালও রাজ্য সরকারকে তালিবান শাসনের আখ্যা দিয়েছেন। ‘বাংলায় তালিবানি শাসন চালাচ্ছে তৃণমূল’, এমনটাই বলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী তথা বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল।

সোমবার হলদিয়ার দলীয় কার্যকারিনী সভায় যোগ দিতে এসে রাজ্যের উদ্দেশ্যে একাধিক উত্তেজনামূলক কথা বলেন তিনি। তার কথায়, “বর্তমান সময়ে যদি কোনও মহিলা কিংবা পুরুষ ভারতীয় জনতা পার্টি করে তাহলে এখানে তিনি সেই দল করার অনুমোদন পাবেন না। কারণ এখানে শুধু তৃণমূলই করতে হবে। অন্য কোনও দল করতে পারবে না। এটা একটা অলিখিত নিয়ম।”

আফগানিস্তানের চলা শিশু ও মহিলা অত্যাচারের সাথে তুলনা করে বলেন, “আফগানিস্তানে যেভাবে তালিবানিরা মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচার করে শাসন চালাচ্ছে, সেই কায়দায় পশ্চিমবাংলায় তৃণমূল দল শাসন করে চলেছে। বিজেপি করলে মহিলাদের ধর্ষিতা হতে হবে। বাড়ির স্বামী কিংবা দাদা ভাইকে মেরে গাছে টাঙিয়ে দেওয়া এবং পরে তাকে আত্মহত্যার তকমা দেওয়া হবে। বাংলায় নিজের মতো করে কোনও দল করার স্বাধীনতা নেই কারও।”

তার কথায়, “আমাদের কিছু সমালোচনা করারও স্বাধীনতা নেই। আর এই সরকারের বিরুদ্ধে যদি কিছু বলি, কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়া হয়, তাহলে সাইবার ক্রাইমের মামলা দেওয়া হবে। যা আমাকেও দেওয়া হয়েছে। আমি মহিলাদের ধর্ষণের কথা তুলে ধরায় আমার বিরুদ্ধে কেস দেওয়া হয়। এটা তালিবানি শাসন নয়তো আর কী?”

অগ্নিমিত্রা এদিনই ফেসবুকে একটি পোস্টে তৃণমূলকে আক্রমণ করে একটি দীর্ঘ রচনা লেখেন। যেখানে হ্যাসটেক দিয়ে লিখে তৃণমূল তালিবান।

তবে শুভেন্দু অধিকারী ও অগ্নিমিত্রা পাল একা নন। শৈশবের কর্মসূচি পালনে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়ে ‘রাজ্যে তালিবানি শাসন চলছে’ বলে তোপ দেগেছিলেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ বলেন, “দিদির ওপর ভরসা করলে তালিবানের গুলি খেতে হবে।” তবে এতকিছু শোনার পর ও তৃণমূল কোনো রকম মন্তব্য এখনও পর্যন্ত করেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *