“চক্রান্ত করে রাতের বেলা জল ছাড়া হয়েছে”, প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ডেস্ক: সংকটে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের 8টি জেলা। একেই ভারী বৃষ্টি তার ওপর DVC র জল ছাড়ার কারণে প্লাবিত পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলী এবং বীরভূম জেলা। যার কারণে ১ লক্ষ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত।

সমস্যা থেকে উদ্ধার করতে ৪ লক্ষ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৬ লক্ষ ত্রিপল পাঠানো হয়েছে। ৮ কলম সেনা নামানো হয়েছে। জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৫০টি দল কাজ করছে। নবান্নতে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

শনিবার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আকাশপথে সেইসব অঞ্চলে পৌঁছান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরামবাগের পৌঁছে একসাথে কেন্দ্র এবং DVC কে আক্রমণ করলেন তিনি। অভিযোগ তুললেন, চক্রান্ত করে রাতের বেলা জল ছাড়া হয়েছে। যা এক ধরনের ক্রাইম।

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিধ্বস্ত সাধারণ মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে জলাজমিতে নেমে পরিস্থিতি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেন। এবং কথা বলে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে। তারপর কেন্দ্র এবং DVC কে নিশানায় নেন। অভিযোগ করেন, “রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছেড়েছে DVC। চাইলে আরও ২ লক্ষ কিউসেক জল ধরে রাখতে পারে, যদি ড্রেজিং করে। তা নাহলে একদিন এমন দিন আসবে আমাদের DVC-র কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ চাইতে হবে। কারণ বছরে চারবার করে জল এলে, সব টাকা জলে চলে যাচ্ছে।” সাথেই ঝাড়খণ্ড সরকারকেও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। হেমন্ত সোরেন সরকারের কাছে বাঁধগুলো সংস্কারের আর্জি জানান তিনি।

এই প্লাবনকে ‘ম্যান মেড ফ্লাড’ বলে আখ্যা দেন। তার কথায়, “DVC কেন্দ্রে অধীনে। কেন্দ্র আমাদের থেকে আয় করবে। আর বারবার DVC জল ছেড়ে রাজ্যকে ভাসিয়ে দেবে, তা কেন হবে? কেন্দ্রে উচিত মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা। সুতরাং ক্ষোভ কিন্তু বাড়ছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “বুকের উপর জল ছাড়া হয়েছে। মানুষকে সমাধি করা হয়েছে। মানুষ যখন ঘুমোচ্ছিল, তখন জল ছাড়া হয়েছে।” ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে কখন, কতটা পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে সেই তথ্যও তুলে ধরেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *