“এই ধরণের ‘ব্যক্তিত্ব’ বা uncouth মন্তব্যের সাথে…” বাবুলের দল ছাড়ার অন্যতম কারণ কি দিলীপ ঘোষ?

ডেস্ক: বাবুলের দল ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে তুমুল হইচই। স্বয়ং দিলীপ ঘোষের কারণেই দল ছাড়তে চলেছেন বাবুল সুপ্রিয়। বঙ্গ বিজেপি তে বাবুল এবং দীলিপবাবুর মধ্যে যে চাপা দ্বন্দ্ব রয়েছে প্রায় সকলেই জানেন। বাবুলের দলত্যাগের কথা প্রকাশ্যে আসার পর সেই বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির মন্তব্যকে হাইলাইট করে বাবুলের পাল্টা পোস্ট জল্পনা বাড়াচ্ছে আরো বেশি।

বেশ কয়েকদিন ধরেই দল ত্যাগের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব যাওয়ার পর থেকেই নিজের ফেসবুক পেজে এমন কিছুই পোস্ট শেয়ার করছিলেন যার থেকে বোঝাই যাচ্ছিল রাজনীতির ক্ষেত্রে তার বিতৃষ্ণা আসছে। কখনো-সখনো লম্বা-চওড়া পোস্ট করে লিখছিলেন নিজের মনের কথা। রাজনীতির আঙ্গিনা ছেড়ে দিচ্ছিলেন গানের দুনিয়া মন।

এবারেও ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমেই তিনি ঘোষণা করলেন দল ছাড়ার কথা। তিনি লিখেছেন, ” চললাম..
Alvida…
সবার সব কথা শুনলাম – বাবা, (মা) স্ত্রী, কন্যা, দুএকজন প্রিয় বন্ধুবান্ধব.. সবটুকু শুনে বুঝেই অনুভব করেই বলি,
চললাম…
‘বেশ কিছু সময়ে তো থাকলাম’.. কিছু মন রাখলাম কিছু ভাঙলাম.. কোথাও আপনাদের হয়তো আমার কাজে খুশি করলাম, কোথাও নিরাশ হতাশ করলাম | মূল্যায়ন আপনারাই নয় করবেন
আমি ‘আমার’ মনে ওঠা সব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পরই বলছি.. আমার মতো করেই বলছি..
চললাম… ” আর এই পোস্টের পর এই তার দল ছাড়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চলছে হইচই।

তবে এসবের মাঝেও বাবুলের রাজনীতি ছাড়ার প্রসঙ্গে দিলিপের মন্তব্যের কথা বলে ফের নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “মাসির গোঁফ হলে মাসি বলব না মেসো বলব তা ঠিক করব। আগে তো মাসির গোঁফ হোক”। আর এই মন্তব্য সহ অন্যান্য বেশ কিছু স্ক্রিনশট নিয়ে গভীর রাতে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন বাবুল সুপ্রিয়। সেখানে তিনি লিখেন, “এই ধরণের ‘ব্যক্তিত্ব’ বা uncouth মন্তব্যের সাথে তো আর রোজ রোজ deal করতে হবে না!! কত পজিটিভ এনার্জি বাঁচবে বলুন তো যেটা অন্য সৎ কাজে লাগাতে পারবো। প্রথম উক্তিটির সৌজন্যে শ্রী কুনাল ঘোষ আর দ্বিতীয়টির, শ্রীমান দিলীপ ঘোষ… দেখুন…”

তবে এই মন্তব্য পাল্টা মন্তব্যের খেলায় আরো স্পষ্ট হচ্ছে একই দলে থেকে ভিন্ন চিন্তা ভাবনা সম্পন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে চলতে থাকা দ্বন্দ্ব। সাথেই বাবুলের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়টিও আসছে ঘুরেফিরে। তবে সূত্রে খবর, বাবুলকে এখনই হাতছাড়া করতে চাইছে না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাবুলের রাজনীতি ছাড়ার কথা বলার পরেই তাকে ফোন করে ডেকে বৈঠক করেন খোদ জে পি নাড্ডা। ফোন করেন অমিত শাহও।

বিজেপি সূত্রের খবর মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়া নিয়ে ক্ষোভ দেখিছেন বাবুল। তাতে তাকে অন্য পদে বসানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে দলের তরফ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *