অমিত কুমারের বিস্ফারক মন্তব্যের প্রতিত্তর দিলো আদিত্য নারায়ণ

ডেস্ক: ভারতের অন্যান্য টিভি সোগুলির মধ্যে ইন্ডিয়ান আইডল একটি অন্যতম পপুলার টিভি শো।
২০০৪ এ শুরু হওয়া এই টিভি শো টির বর্তমানে সিজেন ১২ চলছে।

বেশ কিছুদিন আগেই ইন্ডিয়ান আইডলের কিশোর কুমার স্পেশাল পর্ব অনুষ্ঠিত হয় সেই নিয়েই ওঠে বিতর্কের ঝড়। মঞ্চে বিচারক হিমেশ রেশামিয়া ও নেহা কক্কার এবং প্রতিযোগীদের একাংশকে ট্রোল হতে হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেই দিন মঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোর পুত্র অমিত কুমার। তিনি এপিসোডের পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে একদমই পছন্দ হয়নি প্রোগ্রামটি তার। এপিসোডে প্রতিযোগিরা পারফরম্যান্স ভালো করতে পারেনি শুধুমাত্র পয়সার জন্য তিনি গিয়েছিলেন শো’টিতে।

তিনি আরো জানান পারফর্মেন্স আরও ভালো হতে পারত তাকে ওই দিনে স্পেশাল পর্বের জন্য তাকে ইনভাইট করা হয়েছিল এবং তিনি যত টাকার দাবি করেছিলেন শো তে উপস্থিত থাকার জন্য তত টাকায় রাজি হয়ে যায় প্রোডাকশন হাউস।
ফলে টাকার জন্যই একধারে উপস্থিত থাকতে হয় তাকে।

অমিত কুমারের এইরূপ মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া করে শোয়ের সঞ্চালক আদিত্যে নারায়ন এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, “অমিতজিকে সম্মান করেই বলছি, দু’ঘণ্টার মধ্যে একজন কিংবদন্তীকে শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে আমরা দমনে অল্প সদস্য নিয়ে শুট করছি। অল্প রিহার্সালের সুযোগ পেয়েছি। তাও ভাল শো উপহার দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। সপ্তাহের পর সপ্তাহ নতুন এপিসোড দেখাচ্ছি। যেখানে অন্য চ্যানেল পুরনো কনটেন্টই চালাচ্ছে।”

ইন্ডিয়ান আইডল ১২-র মঞ্চে উপস্থিত হয়ে কিশোর কুমারের যে সব ব্যক্তিগত স্মৃতি অমিত শেয়ার করেছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ আদিত্য। তাঁরা সকলেই তা এনজয় করেছেন। কিন্তু তিনি দাবি করেছেন, অমিত নিজের অপছন্দের কথা যদি শুটিং চলাকালীন তাঁদের জানাতেন, তাহলে অন্তত আরও ভাল করার চেষ্টা করতে পারতেন তাঁরা।

তবে এই বক্তব্যের উত্তর আগেই দিয়ে দিয়েছিলেন অমিত কুমার। তিনি বলেছিলেন,“আমায় যা বলা হয়েছিল আমি তাই করেছি। আমায় বলা হল সবার প্রশংসা করতে হবে। আমিও ভাবলাম বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। ওখানে পৌঁছনো মাত্রই আমাকে যা বলা হয়েছে আমি তাই করে গিয়েছি।” কিন্তু কেন? তাঁর যদি সত্যি মনে হয়ে তাঁকে প্রতিযোগীরা ভালভাবে গাইতে পারছেন না, কেন তিনি কিছু বলেননি? সেই প্রশ্নের উত্তরে অমিত কুমার বলেন, “সবারই তো পয়সার দরকার। আমার যা দাবি ছিল সেই মতো পয়সা ওঁরা আমায় দিয়েছে। তাই কেন শো ছেড়ে চলে আসব। তবে এক এক সময় মনে হচ্ছিল এপিসোডটি বন্ধ করে দেওয়া দরকার।” অর্থাৎ এর থেকে বোঝা যায় শুধুমাত্র পয়সার জন্য শুটিংয়ের সময় অমিত মুখ বন্ধ করে ছিলেন।

এতো কিছু ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে শোয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *