বিজেপি এলে রায়নার চাষির দিন পাল্টাবে : মানিক রায়

ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন ৮ টি দফায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্বে ভোট হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে নন্দীগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোটগ্রহণ দেখা গেছে, সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, আর প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি থেকে তাঁর বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভারতীয় জনতা পার্টির বহু জাতীয় নেতা এখানে ধারাবাহিকভাবে প্রচার চালাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ নির্বাচন সভা এবং রোড শো করছেন। বর্ধমান জেলার বেশ কয়েকটি আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রায়না বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি মানিক রায়কে প্রার্থী করেছে। মানিক রাই এলাকায় প্রচুর জনসমর্থন পাচ্ছেন। শিক্ষক হওয়া ছাড়াও তিনি আরএসএসের কর্মী এবং সামাজিক কাজের সাথে দীর্ঘদিনের সংস্পর্শের কারণে তিনি মানুষের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।

এক জনসভায় তিনি বললেন, আজকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির স্বপ্নের বাংলা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে, সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে, সামাজিক দিক দিয়ে কিভাবে পিছিয়ে পড়েছে। সারা পশ্চিমবঙ্গ কে বাঁচাবার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি সোনার বাংলা গড়ার একটি সংকল্প গ্রহণ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির আশীর্বাদ করবেন। এত বছরে রায়না বিধানসভায় কি হয়েছে এটা আমি পাড়ায় পাড়ায় প্রচার করতে গিয়ে দেখছি।

80 থেকে 85 বছরের বৃদ্ধা মা দেখাচ্ছেন, ‘বাবা এটা আমার বাড়ি, বাড়ির কি অবস্থা দেখো, তিনি কাঁদছেন, কিছুই পাইনি। কেন্দ্র থেকে আবাস যোজনার টাকা আসছে কিন্তু দশ বছর থেকে যেখানে সরকার মানুষের লাভ দিচ্ছে না।

কান্না দেখে আমি মর্মাহত হলাম। এবার বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় আসবে। আমি গলিতে গলিতে যাচ্ছি, দেখতে পাচ্ছি মানুষ কিভাবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছে।

রায়না বিধানসভা হচ্ছে একটা কৃষিপ্রধান বিধানসভা । কৃষির নিম্নতম চাহিদা কি জল, কিন্তু আমরা দেখতে পেয়েছি জল পাওয়া যায় না।

বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে, প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি বাস্তবায়ন হওয়ার ফলে ৭৫ লক্ষ কৃষকদের বার্ষিক আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি হয়ে ১০,০০০ হবে। গত তিন বছরে বাস্তবায়িত না হওয়া প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির আওতায় ৭৫ লক্ষ কৃষককে এককালীন ১৮,০০০ বকেয়া দেওয়া হবে।

কৃষক সুরক্ষা যোজনা মাধ্যমে সকল ভূমিহীন কৃষক এবং ভাগচাষীদের প্রতি বছর ৪,০০০ টাকা করে প্রদান করা হবে।

কৃষকরা তাদের উৎপাদনের সঠিক মূল্য পাবে তা নিশ্চিত করার জন্য ৫,০০০ কোটি বরাদ্দ করা হবে।

২০,০০০ কোটি কৃষক সুরক্ষা ও কৃষি পরিকাঠামো তহবিলের জন্য বরাদ্দ দেয়া হবে।

স্নাতক অবধি ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষকদের সন্তানদের বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করা হবে।

কৃষকদের চাষের জন্য ৮ ঘন্টা অবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে .

ক্ষুদ্র, প্রান্তিক, ভূমিহীন কৃষক এবং জেলেদের জন্য ৩ লক্ষ অবধি বিনামূল্যে দুর্ঘটনা বিমা করে দেব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *