কেশপুরে তৃণমূল কর্মী উত্তম দলুইয়ের দেহ নিয়ে তৃণমূলের অবরোধ

 

কেশপুর : পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে তৃণমূল কর্মী উত্তম দলুই-এর নৃশংস খুনের ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। তৃণমূল ও মৃতের পরিবারের দাবি, মৃত উত্তম দলুই এলাকায় সক্রিয় তৃণমূলকর্মী বলে পরিচিত ছিলেন। তাই তাঁকে বুধবার তারে তাঁর বাড়ি সংলগ্ন তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে তাঁকে টেনে নিয়ে খুন করে বিজেপির দুষ্কৃতীরা, এমন অভিযোগ বৃহস্পতিবার করেছিল তৃণমূল। শুক্রবার উত্তম দলুই-এর মৃত দেহ নিয়ে প্রতিবাদে পথ অবরোধ তৃণমূলের। মৃতের পরিবার ও তৃণমূলকর্মীদের অভিযোগ, যারা উত্তমকে বুধবার রাতে পার্টি অফিস থেকে তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে তাদেরই বৃহস্পতিবার পুলিশ ভোটার লাইনে নিয়ে এসে ভোট দেওয়ায় সহায়তা করেছে। দোষীরা চিহ্নিত , তারা বিজেপি করে তাদের গ্রেফতার করতে হবে বলে তৃণমূলরের দাবি। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ঘটনার দিনই পুলিশ ৮জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা সবাই বিজেপি কর্মী। কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ আসল দোষীদের ধরা হয়নি।

প্রসঙ্গত বুধবার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগের রাতে কেশপুরের দাদপুরে তৃণমূল পার্টি অফিস বেশ কয়েককজন কর্মী রাতের খাওয়া দাওয়া করছিলেন। সেই সময় তৃণমূল কর্মী উত্তম দলুইকে বিজেপি-র দুষ্কৃতীরা মারতে মারতে টেনে নিয়ে যায়। কেশপুরের তৃণমূল প্রার্থী শিউলি সাহা অভিযোগ করেন, “বিজেপি-র লোকেরাই উত্তমকে খুন করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার পর কী করে এই ঘটনা ঘটলো?”

এদিকে বিজেপির কেশপুরের নেতা তন্ময় রায় দাবি করেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে বিজেপি-র কোনও যোগ নেই।”

তবে স্থানীয় অসূত্রে জানা গেছে, “বুধবার রাতে দাদপুরের স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ের বাইরে ছিলেন উত্তম দলুই সহ দলের বেশ কিছু কর্মী। সেখানে আচমকা কিছু বিজেপি কর্মী এলে উত্তেজনা শুরু হয়। বচসা বাধে দুই পক্ষের মধ্যে। অভিযোগ বচসা চলার সময় হঠাৎই উত্তমের পেতে চুরি চালিয়ে দেয় সুশান্ত দলুই নামের এক বিজেপি কর্মী। জানা যাচ্ছে সুশান্ত দলুই আবার মৃত উত্তমের ভাই। শুক্রবার সকালে উত্তমের স্ত্রী সুশান্ত দলুইয়ের নাম অভিযোগ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *