বিজেপি রাজ্যে আক্রমণ তৃণমূলের ওপর, সর্বভারতীয় স্তরে যাওয়া থেকে রুখতে চলছে প্রচেষ্টা

ডেস্ক: একুশে জুলাই দিন টি শহীদ দিবস হিসেবে প্রতি বছর নিয়মিতভাবে পালন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্লোগান ওঠে “ধর্মতলা চলো”। তবে মহামারীর জেরে গত দু’বছর ধরে ভার্চুয়ালি চলছে এই সভা। কিন্তু এবছর এই সভার সীমাবদ্ধতা শুধু রাজ্যে নয়, প্রভাব ফেলার চেষ্টা চালিয়েছে রাজ্যের বাইরেও। 2024 এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে শুরু হয়ে গেছে ‘ব্র্যান্ড মমতা’র ব্র্যান্ডিং।

লক্ষ্য সর্বভারতীয় স্তরে দল কে গঠন করা। তার জন্যই ছোট্ট পদক্ষেপ নিয়ে যাত্রার সূচনা করলেন একুশে জুলাই তে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ত্রিপুরা উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাটে লাগানো হয় জায়ান্ট স্ক্রিন। তাতেই দেখা যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা। এখনও গেরুয়া শিবিরের ঘাঁটিতে শক্ত মাটি পায়নি তৃণমূল তবুও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গুজরাটে সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য প্রাথমিক স্তরের কাজ শুরু করেছে এই দল।

কিন্তু সব কিছু কি এতই সহজ? বিজেপির ঘাঁটির অন্দরে প্রচার চালাবে তৃণমূল? সেও আবার সম্ভব? বক্তৃতা চালানোর জন্য যে স্ক্রিন লাগানো হয় তার পাশেই টাঙানো হয় গুজরাটি ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর হেডিং। কিন্তু সেই হেডিংয়ে কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।

এর আরো একধাপ এগিয়ে ত্রিপুরায় শহীদ দিবস পালনের সময় গ্রেফতার করা হয় 86 জন তৃণমূল কর্মীকে। ত্রিপুরার উনাকোটিতে একুশে জুলাই সকালবেলা উত্তোলন করা হয় পতাকা। এবং তারপরেই সেখানে উপস্থিত সকল তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ওই জেলায় 144 ধারা জারি ছিল, কোন কারণেই জামায়াত নিষিদ্ধ ছিল। তবে তৃণমূল কর্মীদের দাবি তারা কোন নিয়ম ভঙ্গ করেন নি।

এই সমস্ত ঘটনা খবর পাওয়া মাত্রই ক্ষুব্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে বলেন, “বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা করছি। ভয় দেখিয়ে আমাদের দমানো যাবে না। এই শহীদ দিবসে আরও একবার মনে করিয়ে দিই, লড়াইয়ের ময়দানে অত্যাচারে শক্তির বিরুদ্ধে তৃণমূলে এক ইঞ্চি জমি ছাড়বে না। যা হবে, দেখা যাবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *