“রাজ কখনোই আমাকে জোর করেননি” রাজের পক্ষে সাফাই গাইলেন গহনা বশিষ্ঠ

ডেস্ক: বলিউডে এখন আলোচনার শিখরে রাজ কুন্দ্রার গ্রেফতারির খবর। পুলিশি তদন্তে একের পর এক ঘটনার হচ্ছে খোলসা। অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রা কে সোমবার মুম্বাই পুলিশ গ্রেফতার করে পর্নোগ্রাফি সিনেমা তৈরি করার অভিযোগে।

পুলিশ জানায় ফেব্রুয়ারি মাসে একটি কেস ফাইল হবে মুম্বাইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এ। অশালীন পর্নোগ্রাফি ছবি তৈরি করা এবং সেইসব ছবিগুলিকে অ্যাপের মাধ্যমে প্রকাশ করার কেস ফাইল। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারেন এই সমস্ত ঘটনাবলি পেছনে ষড়যন্ত্রকারী হচ্ছেন শিল্পা শেট্টি স্বামী তথা ব্যবসায়ী প্রযোজক রাজ কুন্দ্রা। সে সময় তাকে গ্রেফতার ও করা হয় ।কিন্তু যথাযথ তথ্য-প্রমাণ হাতে নেওয়া পাওয়ায় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে অ্যান্টিসিপেটরি বেলও পেয়েছিলেন রাজ। কিন্তু এবারে যথাযথ প্রমাণ ছিল পুলিশের হাতে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সহ অন্যান্য তথ্য পেয়েছিল তারা।

রাজ কুন্দ্রার খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর একাধিক মডেল ও অভিনেত্রী নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে জানিয়েছেন। এরই মধ্যে আরও এক মডেল গহনা বৈশিষ্ট্যও রাজ কুন্দ্রার পক্ষে কিছু মন্তব্য করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারিতে রাজের সাথে একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় গহনাকেও। অভিযোগ ছিল, 87 ভিডিও তৈরি করে নিজের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছিলেন তিনি। ওয়েবসাইট সাবসক্রিপশন চার্জ ছিল 2 হাজার টাকা।

 

গহনা বশিষ্ঠ

মঙ্গলবার গহনা একটি বিবৃতিতে সাধারণ দর্শকদের পর্ণগ্রাফি আর এরোটিয়ার এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে অনুরোধ করেন। তিনি এক সংবাদমাধ্যমের বলেন, “আমাকে আর রাজকে একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের দুজনের বিরুদ্ধেই তদন্ত চলছে। আমি জানি রাজের কোম্পানিতে কি তৈরি হত। রাজ আমার তিনটি ছবির প্রযোজক। আমি নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছি। রাজ আমাকে কোন কিছু করতে বাধ্য করেনি। কাজের উপযুক্ত পারিশ্রমিক পেয়েছি।”

রাজ কুন্দ্রা

তিনি আরো জানান, রাজের সংস্থা থেকে তৈরি ছবি ও বিষয়বস্তু নিয়ে কোনকালেই কোনো আপত্তি ছিল না আমার। ছবিগুলি মুক্তি পেয়েছে এবং একটিকেও পর্ন ছবি বলে দেগে দেওয়া যায় না। ফেব্রুয়ারীতে গ্রেফতার হওয়ার পর পাঁচ মাস জেলে কাটিয়েছেন তিনি। জেলের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে তিনি বলেন, “কোনও দোষ ছিল না আমার। আমার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়, মোবাইল ও ল্যাপটপ নিয়ে নেওয়া হয়। আমার জীবন নরকে পরিণত হয়। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর হাতে ছিল না টাকা। আমার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। 10 12 দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। জেলের পরিবেশ খুব খারাপ ছিল ঠিকমত নিশ্বাস নিতে পারিনি। একটাই কথা কেবল মনে হয়, এগুলো আমার প্রাপ্য ছিল না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *