তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার অন্যতম কারণ বাম-দের সমর্থন

ডেস্ক: হিন্দুত্ব ও হিন্দুইজম শব্দ গুলো শুনতে অনুরূপ লাগলেও শব্দদুটির অন্তর্নিহত অর্থের তফাৎ অনেকটা বেশি।

কিন্তু দুটো শব্দকে গুলিয়ে এক করে ফেলেছে রাজনীতিবিদরা। যার সুদারুন ব্যবহার করছে তারা নিজেদেরকে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করতে।
সাম্প্রদায়িকতা কে ঘিরে ভোটের প্রচার করা কোনো নতুন বিষয়ে না।

কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই সাম্প্রদায়িকতার আগুন সেইরকম ভাবে ছড়ায়নি আপাতত। যার ফলাফল দেখা গেছে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে।
বেশি মাত্রায় আসন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নিজের ক্ষমতা বজায় রেখেছে।

প্রশ্ন উঠতেই পারে যেখানে অমিত শাহ একেকটি দফায় ভোট হওয়ার পর নিশ্চিত ভাবে বলে দিয়েছিলেন কটা করে আসন পেতে চলে বিজেপি এমনকি মিডিয়ার এক্সিট পোলে ভারতীয় জনতা পার্টির দখলে তিন ডিজিটে আসন বরাদ্দ এমন তাই তথ্য পাওয়া গেছিলো। সেখানে ৯০ ই এর কোটা পূরণ করতে পারলো না বিজেপি।

এমন ব্যর্থতা কেন? প্রচারে এতো জনসমাগম হওয়ার সত্ত্বেও দুটো ডিজিটেই কেন আটকে গেলো বিজেপি?

দলের নেতাদের মতে মুসলিম কমিউনিটি কে মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজের একটা শক্ত ভোট ব্যাঙ্ক এ পরিণত করেছে। তাদের তোষামোদ করেন মাননীয়া।

কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ৭০.৫% হিন্দু, ২৭% মুসলিম।
সুতরাং এটি ধারণা করে যায় যে শুধুমাত্র এত কম শতকরা মুসলিম কমিউনিটি কে কেন্দ্র করে এত বড়ো জয় বেশ কঠিন।

ফলে এটা স্পষ্ট যে বেশিরভাগ হিন্দুরই ভোট পড়েছে তৃণমূলের সমর্থনে।
তাহলে বাঙালির মানুষ কি চায় না স্বতন্ত্র হিন্দু রাষ্ট্র গঠন করতে? তারা কি চায় না হিন্দুত্ব কে বজায় রাখতে।

প্রশ্ন টা যত তা জটিল ততটাই এর উত্তর টা।

বাংলার মানুষ হিন্দুইজমকে সমর্থন করে হিন্দুত্বকে না। তারা নিজেদের ধর্মের মর্যাদা করে তা বলে অন্য ধর্মের অধিকার কেড়ে নিতে তারা নারাজ অন্য ধর্মকে ছোট করতে তারা নারাজ।

সিপিম কে নস্যাৎ করে তৃণমূলের ক্ষমতায় আসা মেনে নিতে পারেনি অনেক বামেরা। ২০১৯ এ বিজেপির জয়ের পর বড়ো মাপের একটা বামের গোষ্ঠী এগিয়ে গেছে বিজেপির দিকে। এই আশায় যে একমাত্র বিজেপি পারে তৃণমূলকে আটকাতে। যার কারণে বিজেপি একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছে ছিল এবং ২০০টি আসন টার্গেট রেখেছিলো।

কিন্তু বিজেপির ভুলভাল পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে বাম থেকে রামে যাওয়া পাবলিকদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে আফসোস হয় যার কারণে এই গোষ্ঠীর দুটি ভাগে বিভক্ত হয়।
একদল পরে থাকে বিজেপির দিকে র একদল হয়ে ওঠে তৃণমূল সমর্থক।

বিজেপির বাংলায় আসা আটকানোর অন্যতম বিকল্প হিসাবে তারা বেঁচে নেয় মমতা বন্দোপাধ্যায় কে।

পশ্চিমবঙ্গে মহিলা ভোট ব্যাঙ্ককে অবমূল্যায়ন করা হলেও এর গুরুত্ব ভোট অনেকটা বেশি। এখানের মহিলারা বহিরাগত দলের থেকে মমতা সরকারকে বেশি নিরাপদ মনে করে।