শুভেন্দুর হুঁশিয়ারিতে বেপরোয়া মুকুল! আদালতে যাওয়ার তর্জন কেও পাত্তা দেননি তিনি

ডেস্ক: বর্তমানে রাজ্যের শাসক দল এবং বিরোধী দলের মধ্যে যে সংঘাত লেগে থাকছে তাতে রাজ্যবাসী আর খুব একটা পরোয়া করছে না। যেমন টা মুকুল রায় পরোয়া করছেন না শুভেন্দু অধিকারীকে। যতই শুভেন্দু বাবু হম্বিতম্বি করুক না কেন, বিক্ষোভ দেখান না কেনো, ‘আই ডোন্ট কেয়ার’ টাইপের একটা প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন মুকুল রায়।

কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইন প্রয়োগের জন্য শুভেন্দু বাবু যতই প্রয়াস করুন না কেন, সেই সমস্ত কিছুকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়ার বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে রেখেছেন মুকুল বাবু। তার ভাব এমনটাই তৈরি হয় যেন কিছুই করতে পারবেন না শুভেন্দু অধিকারী। পিএস কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হওয়ার পর শুক্রবার থেকে জোর কদমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন নাম মাত্র খাতায় কলমে বিজেপিকে থাকা এই বিধায়ক।

মুকুল রায়ের বিধায়ক পদের খারিজের আবেদন নিয়ে শুক্রবার স্পিকার ঘরে ছিল শুনানি। এরপর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে 30 শে জুলাই। খুব স্বাভাবিক ভাবেই শুভেন্দু অধিকারী স্পিকারের এই দীর্ঘসূত্রতায় সন্তুষ্ট নন। যা তিনি এ দিন ই স্পষ্ট করে দেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “অনির্দিষ্টকাল ধরে শুনানি চলবে এটা হয় না।” সে কারণেই আদালতেই তিনি যাবেন বলে ঠিক করে। শুভেন্দু অধিকারীর এরকম বক্তব্য প্রসঙ্গে মুকুল রায় কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এমন প্রতিক্রিয়া দেন যেন তার কিছু যায় আসে না। তিনি বলেন “যেখানে খুশি যাক না! আদালতে যেতেই পারে।”

মুকুল রায়ের এমন প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট হয়ে যায় যে তিনি কোনো রকমেই শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারিকে খুব একটা গায় মাখছেন না। অন্যদিকে পিএস এর দায়িত্বে মনোনীত হওয়ার পর শুক্রবার একটি কমিটির বৈঠকে যোগদান মুকুল রায়। এই বৈঠকটি ডেকেছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল রায় সহ বিধানসভার 41 টি কমিটির চেয়ারম্যানকে নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। এই বৈঠকে আলোচনার বিষয় ছিল কিভাবে বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলি আগামী এক বছর পরিচালনা করা হবে, কি কি কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে বিধানসভা কে আরও সমৃদ্ধ করে তোলা যাবে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *