চতুর্থ ঢেউয়ের মুখে প্রেমের শহর, অভিযোগ ওঠে টিকানীতির ওপর

ডেস্ক: দীর্ঘ ছয় মাস লকডাউন থাকার পর গত দুই মাস আগে লকডাউন তোলা হয়েছিল প্যারিসে। কিন্তু লকডাউন থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ফের একবার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ। সেই কারণেই রাতারাতি কঠোর হল ফ্রান্স প্রশাসন। এবং আনলো নতুন ভ্যাকসিন পাসপোর্ট প্রক্রিয়া। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

বুধবার থেকেই জারি হলো নতুন নিয়ম। যেখানে সিনেমা হল, মিউজিয়াম ও ক্রীড়াঙ্গনগুলিতে আহত দর্শকদের থেকে দেখতে চাওয়া হচ্ছে টিকাকরণের সার্টিফিকেট বা কোরোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। এছাড়াও লুভ্রে মিউজিয়াম ও আইফেল টাওয়ারে প্রবেশ করতে গেলেও লাগু হচ্ছে একই নিয়ম। দুটোর মধ্যে কোনটি দেখাতে না পারলেও প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না উল্লেখিত জায়গায়। এই নিয়মের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ‘হেলথ পাস’ দেখাতে হবে রেস্তুরাঁ, ক্যাফে এবং শপিং মলসহ অন্যান্য জায়গায়।

ফ্রান্স এর প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্স বলেন, “আমরা সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউয়ের মধ্যে প্রবেশ করতে শুরু করেছি। নতুন করে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশই টিকাপ্রাপ্ত নন। সংক্রমণ রুখতেই এবং চতুর্থবারের মতো লকডাউন এড়াতে এই নতুন নিয়ম চালু করা হয়।”

জানা যায়, বুধবার ফ্রান্সে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা 21 হাজারে গিয়ে ঠেকেছে। যা গত মে মাসের শুরুর পর সর্বোচ্চ সংক্রমণ সংখ্যা। দেশে সংক্রমণ বাড়ার পর ও এখনও টিকা নিচ্ছেন না একাধিক দেশবাসী। আর তাদের ওপর এই ক্ষোভ উগরে দেয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ার ভেরান। তিনি বলেন স্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে কর ফাঁকি দেবেন বা ভুল পথে গাড়ি চালাবেন, কিংবা রেস্তোরাঁয় বসে সিগারেট খাবেন। একইভাবে টিকা নিতে অস্বীকার করতে পারেন না, যা আপনাকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি বাকিদেরও সুরক্ষা দেবে।

এখনও পর্যন্ত দেশের মোট জনসংখ্যার 86 শতাংশ মানুষ ই টিকার দুটো ডোজই পেয়েছেন। 56 শতাংশ মানুষ পেয়েছেন টিকার প্রথম ডোজ। তবে গ্রীষ্মের শেষের মধ্যে 5 কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য রেখেছে ফ্রান্স প্রশাসন। কিন্তু এতেও ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। তারা অভিযোগ করেন পর্যটকরা দেশে ঢোকার সময় ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখিয়ে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারলেও সাধারণ বাসিন্দারা টিকাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও তাদের একাধিক জায়গায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *