30 মিনিট অপেক্ষা করানোর পরও প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বসেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ডেস্ক: শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা এসেছিলেন ইয়াসের ফলে রাজ্যে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির প্রদর্শন করতে। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও।

কিন্তু হঠাৎ ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানতে পারেন বৈঠকে তাদের ছাড়াও উপস্থিত থাকতে চলেছে রাজের বিরোধীদলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

বিষয়টি জানার পর থেকেই বৈঠকে বসতে রাজি হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে খবর আসে শুভেন্দু অধিকারী বৈঠকে উপস্থিত থাকলে সে বৈঠকে অংশ নেবেন না মমতা ।

দলের এক নেতা তাপস রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন জানিয়ে বললেন,” মমতা সঠিকভাবে প্রতিবাদ করেছেন। সাধারণভাবে এই ধরনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর থাকে। কেউ যদি অতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে হাজির হন তা মেনে নেওয়া যায় না। কোনও বিধায়ক কে কেন ডাকা হবে? এর কোনও প্রয়োজন নেই।”

আরও পড়ুন: শুভেন্দুর উপস্থিতিতে মোদীর সাথে বৈঠকে বসতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

অন্যদিকে এই কথার বিরোধিতা করে বিজেপির নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি জানান, ‘বিরোধী দলনেতা থাকবেন এটা স্বাভাবিক। ভারতীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্ব আছে। এটাই সুস্থ গণতন্ত্রের নিদর্শন হওয়া উচিত।”

কিন্তু পরবর্তী কালে জানা যায় বলতো চলাকালীন সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার সহ বিশিষ্ট নেতারা। কিন্তু যথা সময় উপস্থিত থাকেনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রধানমন্ত্রীকে 30 মিনিট অপেক্ষা করতে হয় তার জন্য। কিন্তু 30 মিনিট অপেক্ষা করানোর পরও বৈঠকে বসেননি মমতা। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নথিভূক্ত করা একটি ফাইল প্রধানমন্ত্রীর হাতে সমর্পণ করে তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে যান তিনি। এবং বলেন একটি বিশেষ মিটিং আছে তার যার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারছেন না।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যবহারের বিশেষ সমালোচনা করা হয়। কটাক্ষ করে চলতে সংবাদ।

বারবার এক প্রশ্ন দিকে নিক্ষেপ করা হচ্ছে যে কি এমন গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ছিল যার কারণে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে তিনি বসলেন না?

দিল্লি থেকে সরাসরি ওড়িশা ও তারপর পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

আজকের এই বৈঠকে সম্বন্ধে কালকেই জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী কে। তারপরও কি করে তিনি অন্য একটি বৈঠকের আয়োজন করতে পারলেন?

শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি যদি সমস্যা হয় তাহলে কোনও যথাযত যুক্তি মিলছে না।

উড়িষ্যায় নবীন পট্টনায়ক এর সাথে বৈঠকে ও সেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে কোনো রকম দুর্ব্যহার প্রধানমন্ত্রীর সাথে হয়নি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ব্যবহার গ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছে বহু বিশেষজ্ঞরা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *