মুকুলের দল ছাড়ার মতামতে কথার খেই হারালেন দিলীপ ঘোষ, তাহলে মুকুল ছাড়া কি বঙ্গ বিজেপি নির্বল?

ডেস্ক: গতকাল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ঘটে এক অভাবনীয় ঘটনা। যদিও এটিকে অভাবনীয় বলা কিছু অংশে ভুল হবে কারণ যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি ঘটার ধারণা ছিল বহুদিন যাবৎ।

মুকুল রায় ঘটা-সটা করে ফিরলেন পুরনো দল তৃণমূলে। বহুদিন যাবৎ তৃনমূলের রণক্ষেত্র তৈরি করার পর আকস্মিকভাবেই তিনি দলবদল করে 2017 তে যুক্ত হয়েছিলেন বিজেপিতে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জয়ী হলেও এক অজানা কারণে ছেলে শুভ্রাংশু কে নিয়ে ফিরলেন তৃণমূলে। কিন্তু কোন মাধ্যম দিয়ে নয় সরাসরি বৈঠকে বসলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে।

মুকুলের দল ছাড়া নিয়ে একেবারেই প্রস্তুত ছিল না বঙ্গ বিজেপি। অনেক নেতারা মনে করেন মুকুলের দলত্যাগ এক বড় আঘাত আনে বাংলার বিজেপি সংগঠনের উপর। আঘাতের জেরে কথার খেই হারিয়ে ফেলেছে বহু মন্ত্রীরা। তাদের মধ্যে একজন হলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে 77 এর বদলে মুখ ফসকে বলে ফেলেন 177।

কিন্তু তার কথানুসারে মুকুল রায়ের গুরুত্ব তার দলে সেরকম ছিলনা। ফলে তার চলে যাওয়া তেও সেরকম কোনো প্রভাব পড়েনি তাদের। যেখানে মুকুল কে ছাড়াও তৃণমূলের এত ভারী সংখ্যায় জয় হল এবং মুকুল কে সাথে রেখেও বিজেপিকে বড় মাপের হারের সম্মুখীন হতে হলো। সেখানে মুকুলের কি আর কৃতিত্ব? এমনটাই কথার আব ভাবে বুঝিয়েছেন দিলীপ বাবু। তিনি বলেন, “মুকুল রায় কেমন চাণক্য? উনাকে ছাড়াও তৃণমূল তো 213 টা আসন জিতল। কিন্তু আমরা 200 টার্গেট করে 117… ইয়ে 77 টা আসন পেলাম। মুকুল তৃণমূল ছাড়াই যদি তৃণমূলের ক্ষতি না হয় তাহলে বিজেপি ছাড়লে বিজেপিরই বা ক্ষতি হবে কেন?”

এরই সাথে তিনি হুশিয়ার করে দিলেন যারা বিজেপি ছেড়ে অন্য দলে যাওয়ার জন্য তা বাড়িয়েছে তাদের। যেখানে তিনি বললেন, “দল ছড়াটা কারো কারো অভ্যেসে পরিণত হয়েছে। তাই তারা করছেন। ভারতীয় জনতা পার্টি সেই লোকেদের উপর নির্ভরশীল যারা রক্ত দিয়ে, ঘাম দিয়ে পার্টিকে দাঁড় করিয়েছেন। তারা পার্টির সঙ্গেও আছেন। যারা কেবল ক্ষমতার স্বাদ নিতে চান, ক্ষমতায় এসে যত রকম ধান্দা করতে চান, তারা বিজেপিতে থাকতে পারবেন না। থাকতে দেব না আমরা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *