বিতর্কের মুখে কুম্ভমেলা, পুণ্যার্থীদের ভুয়ো কোরোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে সৃষ্টি হয় তোলপাড়

ডেস্ক: ভারতে চলে আসা প্রাচীন ঐতিহাসিক প্রথা কুম্ভ মেলা নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে যতটা উচ্ছ্বাস থাকে এবারে ততটাই বিতর্কের মুখে পড়ে কুম্ভ মেলা।

এক তো করোনা মহামারী কারণে যেখানে মানুষের সাধারণ জীবন যাপন বন্দীদশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেখানেই এই প্রাচীন ঐতিহ্যকে বাঁচাতে এবছর ও পালন করা হয়েছিল কুম্ভ মেলা। এবং সেই নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। যেখানে অভিযোগ আনা হয় কুম্ভ মেলার কারণে সংক্রমন ছড়ায় দেশ জুড়ে।

তার উপরেই আরো এক তথ্যে হইচই ফেলে দেয় ফের একবার। যেখানে জানা যায় ভুয়ো কোরোনা রিপোর্ট নিয়ে শরণার্থীরা প্রবেশ করে মেলায়। সূত্র অনুযায়ী, উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে হরিদ্বার জেলা প্রশাসকে এই বিষয়ে বেসরকারি ল্যাবরটরির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে বলা হয়েছে।

কোনো সংক্রমণ এর মাঝেই আয়োজন করা হয়েছিল কুম্ভ মেলা। সেই কারণেই গোটা দেশজুড়ে উঠেছেল সমালোচনার ঝড়। ‘সুপার স্প্রেডার’ রের তকমাও দেওয়া হয়েছিল কুম্ভ মেলাকে।

রাজু সরকার ও কুম্ভমেলা পরিচালন কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে যথাসম্ভব কোরোনাবিধি মেনেই আয়োজন করা হয়েছিল কুম্ভমেলা। আগত পুণ্যার্থীদের কোরোনা পরীক্ষা ও মাস্ক পরার মত বিধিগুলো পালন করা হয়েছিল। তবে একাধিক সাধু,সন্ত কোরোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেই ফাঁকা হতে থাকে কুম্ভমেলা চত্বর। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আবেদনে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করে দেওয়া হয় মেলাটি।

কিন্তু এই ঘটনার পরেই ভুয়ো রিপোর্টের তথ্য টি সামনে আসে। সম্প্রতি এক সূত্রে জানা যায়, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে যে 22টি ল্যাবরেটরীগুলিকে পূণ্যার্থীদের করোনা পরীক্ষা দায়িত্বভার দেয়া হয়েছিল, তাদের অধিকাংশই ভুয়ো কোরোনা রিপোর্ট জমা দিয়েছে।

এছাড়া একই মোবাইল নম্বরে 50 জনের নাম রেজিস্টার করার অভিযোগ উঠেছে ওই ল্যাবরেটরী গুলোর বিরুদ্ধে। এক সূত্রে জানা যায় উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে তরফ থেকে 50 হাজার কোরোনা পরীক্ষার যে কোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তা পূরণ করতেই, এই ভুয়ো রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিলো ল্যাবগুলো তরফ থেকে।

গোটা বিষয়টি সামনে আসতেই ওই 22 টি ল্যাবের বিরুদ্ধে তদন্ত করার নির্দেশ জারি করে হরিদ্বার জেলা প্রশাসন। এদিকে কুম্ভ মেলার ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা অর্জুন সিং সিঙ্গার এর নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।