একজন চা বিক্রেতা প্রধানমন্ত্রীকে দাড়ি কাটার জন্য পাঠালেন 100 টাকা

ডেস্ক: দেশে চলা চলতে থাকা লকডাউন এর কারণে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে 97% শতাংশ মানুষ। যেখানে বন্ধ হয়েছে তাদের কাজ কারবার। গরীব রা গরীব ই থাকছে এবং ধনীরা আরো বেশি ধনী হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মুম্বাইয়ের বারামতীর এক হসপিটালের উল্টো দিকে থাকা একটি ছোট চায়ের দোকানের মালিক নিজের পুঁজি থেকে 100 টাকা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।

ব্যক্তির নাম অনিল মোরে। বারামতীর ইন্দাপুর বেসরকারি হাসপাতালের সামনে একটি গুমটি বানিয়ে চা বিক্রি করে কোন মতে দিন কাটান তিনি। বিগত দেড় বছর ধরে লকডাউন এর প্রভাব বেশির ভাগটাই পড়েছে নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষের ওপর এবং তিনিও তাদের মধ্যে একজন। ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে ব্যবসাতেও। দৈনিক স্বল্প উপার্জনের মাধ্যমে সংসার চালান তিনি। এবং সেই উপার্জনে থেকেই টাকা সংরক্ষন করে 100 টাকা মানি অর্ডার করে প্রধানমন্ত্রী কে। তবে টাকাটি পিএম কেয়ার ফান্ডে নয় তিনি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রীকে দাড়ি কাটার জন্য।

এবং সাথে পাঠালেন একটি চিঠি। তিনি সেখানে লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের দাড়ি বাড়াচ্ছেন। কিন্তু আমার মনে হয়, সত্যিই যদি কিছু বাড়ানোর প্রয়োজন হয়ে থাকে, তা হল কর্মসংস্থানের সুযোগ। ওনার উচিত দেশের তিকাকরণের গতি বাড়ানো, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে মজবুত করা। গত দুটি লকডাউনের কারণে সাধারণ মানুষরা যে সমস্যায় পড়েছে, তা দূর করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর।”

এবং তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করার জন্য টাকাটা পাঠাননি। তিনি এই প্রসঙ্গে লেখেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী কে অত্যন্ত সম্মান করি এবং উনি যেভাবে আজ আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে উঠেছেন, সেই প্রচেষ্টা ও কর্মফল কেও সাধুবাদ জানাই। আমি নিজের জমানো টাকা থেকেই ওনাকে 100 টাকা পাঠাচ্ছি যাতে উনি দাড়ি কেটে আমাদের আসল সমস্যা গুলোর উপর নজর দেন।”

এবং তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন মহামারীর কারনে যাদের পরিবারের সদস্যরা মারা গিয়েছেন তাদের পাঁচ লক্ষ টাকা এবং লকডাউন এর প্রভাবে যে সমস্ত পরিবার সমস্যাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে তাদের 30 হাজার টাকা করে দেওয়া হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *