২০১৬-তে জিতেছিলেন ১ লক্ষের বেশি ভোটে, এবার শান্তিতে ভোটের দাবিতে রাস্তায় তৃণমূলের শওকত মোল্লা

তৃণমূলের (trinamool congress) বাহুবলী প্রার্থী শওকত মোল্লাই (saukat molla) এবার শান্তিতে ভোটের দাবিতে রাস্তায় বসেছেন। এদিন সকালে ক্যানিং পূর্বের ঘটনা। অথচ এই প্রার্থী ২০১৬-তে সিপিএম প্রার্থীকে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন। এদিন সকালে ভোটের এই চিত্রে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন।

এদিন সকালে ভোট শুরু হতেই শওকত মোল্লা অভিযোগ করেন, রাত থেকেই তাণ্ডব শুরু করেছেন আব্বাস সিদ্দিকির দল আইএসএফ এবং সিপিএম-এর বাহিনী। তিনি বলেছেন, যেসব হার্মাদরা ঘরে ঢুকে ছিল তাঁরাই রাস্তায় নেমে তাণ্ডব শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

শওকত মোল্লা অভিযোগ করেন, একাধিক বুথ থেকে তৃণমূলের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে তিনি ৮০ ও ৮৩ নম্বর বুথের কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, জীবনতলার একটি বুথ থেকে তৃণমূলের এজেন্টকে মেরে বের করে দিয়েছে আইএসএফ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তৃণমূলের তরফে শুধু ক্যানিং পূর্বেই নয়, ক্যানিং পশ্চিম, মগরাহাট পশ্চিম, বারুইপুর পশ্চিমে সিপিএম এবং আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে।

এদিন ক্যানিং পূর্বে একটি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের কাছেই রাস্তার ধারে বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেই বোমা উদ্ধারের দাবিতে দলবল নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন শওকত মোল্লা। বেশ কিছুক্ষণ পরে পুলিশ বোমা উদ্ধার করলে তিনি অবরোধ তুলে নেন।

এদিকে শওকত মোল্লার অভিযোগ প্রসঙ্গে ভাঙড়ের আইএসএফ প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, মানুষ শান্তিতে ভোট দিতে পারলে হারবেন শওকোত মোল্লা। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, জায়গায় জায়গায় শওকত মোল্লার দলবল হামলা চালাচ্ছে। তা ঢাকতেই রাস্তায় বসেছেন তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর মতো স্থানীয় আইএসএফ এবং সিপিএম নেতারও বলছেন, এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন পরে ভোট দিচ্ছেন। তবে তৃণমূলের গুণ্ডারা বিরোধীদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপরেও হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগও করেছেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *