রাজ্য়ের সরকারি দফতরে ফের ৫০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ

ডেস্ক. রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। সতর্ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। পরিস্থিতি সামাল দিতে নয়া নির্দেশিকা দিতে চলেছে নবান্ন। জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারি দফতরে আবার ৫০% কর্মী নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়ছে, তাই রাজ্য প্রশাসন ৫০% কর্মী দিয়ে সরকারি দফতর চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জেলায় জেলায় সংক্রমণ রোধে এই ব্যবস্থা কার্যকর করার কথা জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ মহল। এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট থেকেও একই রকম নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, সামান্য উপসর্গ থাকলেই কৌঁসুলিরা আদালতে মামলার সওয়ালে হাজির হতে পারবেন না। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী বাংলা আবার একটা লকডাউনের দিকে এগোচ্ছে?

রাজ্যের ভোটযুদ্ধের মাঝেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত বছর করোনা সংক্রমণের সঙ্গে তাল মেলাতে প্রতিটি অফিসে হাজির পরিমাণ ৫০ শতাংশ করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য। সেই পথেই ফের হাঁটতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন।

ইতিমধ্যেই সেচ দফতর, কৃষি দফতরের মতো বিভাগগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করা হবে বলে সূত্রের খবর। এদিকে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টও।

কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে নির্দিষ্ট সংখ্যক মামলা তালিকাভুক্ত করে প্রতিদিন মামলাকারী ও আইনজীবীদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। আগামী ১২ থেকে ৩০শে এপ্রিল এই রাস্তাতেই হাঁটতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু কলকাতা হাইকোর্টই নয়, আন্দামান ও জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চেও এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

সম্প্রতি শিয়ালদহ আদালতের পাঁচজন আইনজীবী একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাই সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। তবে আদালত বন্ধ রাখা হবে কীনা, সেই বিষয়ে শুক্রবারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে, সারা দেশ যখন সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে তখন প্রায় একই ধরণের পরিস্থিতি এরাজ্যেও। দিনে দিনে সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। বৃহস্পতিবারের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যের ফের বাড়ল করোনা সংক্রমণ। বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৮৩ জন। যা কিনা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৪০০ বেশি।

অন্যদিকে এদিন মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। বুলেটিনে উল্লেখ, রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। আগের দিন অর্থাৎ বুধবারেও সংখ্যাটা একই ছিল। নতুন করে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করায় রাজ্যে অ্যাক্টিভ সংক্রমণ ১৬ হাজার পার করে গিয়েছে।

বৃহস্পতিবারের রিপোর্ট বলছে, এখন অবধি রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা ৬ লক্ষ ২ হাজার ৮০৭ জন। করোনার জেরে রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৩৭০ জনের। করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে এমন মানুষের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩২৮ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *