নন্দীগ্রাম নিয়ে মমতার অভিযোগের উত্তর পাঠাল নির্বাচন কমিশন

কলকাতা: ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের দিন নন্দীগ্রামের বয়াল নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির জবাব দিল নির্বাচন কমিশন। ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে যে প্রতিক্রিয়া পাঠানো হয়েছে সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পয়েন্ট টু পয়েন্ট উত্তর দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন এদিন।

বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়ক (জেনারেল) ও বিবেক দুবে (পুলিশ) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেন নির্বাচন কমিশনে। তার উপর ভিত্তি করেই মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দেয় কমিশন। নন্দীগ্রামের বয়াল নির্বাচন কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন মোতায়েন ছিল বিএসএফ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর চিঠির উত্তরে কমিশন জানিয়েছে বিএসএফের বিরুদ্ধে তিনি যে অভিযোগ তুলেছেন তা সঠিক নয়। মমতা অভিযোগ করেছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সেদিন বয়ান নির্বাচন কেন্দ্রে মানুষকে ভোটদান থেকে বিরত রেখছিল। এর উত্তরে কমিশন জানিয়েছে এমন কোনও জওয়ান নন্দীগ্রামের বুথে মোতায়েন হয়নি যে পোলিং বুথে ঢুকতে পারবেন এবং ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশন এও জানিয়েছে, নন্দীগ্রামের বয়াল ভোটকেন্দ্রে সকাল ৭টায় মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারপর ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই মক ড্রিলের সময় বিজেপি, সিপিআইএম এবং একজন নির্দল পোলিং এজেন্টরা বয়াল পোলিং বুথের ভিতর উপস্থিত ছিলেন। এর সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। যা থেকে প্রমাণ করা যায় যে প্রক্রিয়া কোন ভুল ছিল না।

গত ১ এপ্রিল দুপুরে বয়ালের একটি বুথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছতেই অশান্তি শুরু হয়। মমতাকে দেখে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁকে উদ্দেশ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠে মুহুর্মুহু। তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা একে অন্যদের দিকে ইট নিয়ে তেড়ে যান। মমতার অভিযোগ, বাইরে থেকে লোক এনে ভোট করাচ্ছে বিজেপি। যাদের আনা হয়েছে, তাঁরা কেউ বাংলা জানেন না। বয়ালের ওই বুথে বিজেপি অবাধে ছাপ্পা ভোট করেছে বলে তৃণমূল নেত্র্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ করেন মমতা। এদিন বুথের মধ্যে বসে তিনি বলেন, ‘‘আদালতে যাব আমরা। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ৬৩টা অভিযোগ পেয়েছি।’’ বয়ালের বুথে বসেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ফোন করে পরিস্থিতি জানান মমতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *