দলীয় কর্মীদের মৃত্যুর ঘটনায় গর্জে উঠেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি

ডেস্ক. গতকালই শেষ হয়েছে রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে কোচবিহারের শীতলকুচিতে মৃত্যু হয় ৪ তৃণমূল কর্মীর। আর দলীয় কর্মীদের মৃত্যুর ঘটনায় গর্জে উঠেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। মৃতদের পরিবারের পাশে থাকতে আজ কোচবিহার যাওয়ার কথা ছিল মমতা ব্যানার্জির। কিন্তু গতকালই নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয় ৭২ ঘণ্টা কোচবিহারের শীতলকুচিতে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা–নেত্রীরা প্রবেশ করতে পারবেন না। আর কমিশনের এই সিদ্ধান্তের জেরেই আজকের কোচবিহার সফর বাতিল করেছেন মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু কমিশনকে এই বিষয়ে কড়া আক্রমণ শানান মমতা ব্যানার্জি। টুইটে মমতা ব্যানার্জি লেখেন, নির্বাচন কমিশন ৩ দিনের জন্য আমার কোচবিহারে প্রবেশ রুখতে পারে। কিন্তু ৭২ ঘণ্টা পর অর্থাৎ ৪ দিন বাদেই আমি কোচবিহার যাব। আমার ভাই–বোনেদের পাশে থাকতে আমি যাব। বিশ্বের কেউ আমায় কোচবিহার যাওয়া থেকে আটকাতে পারবে না। নিজের মানুষদের পাশে দাঁড়ানো থেকে আমায় আটকে রাখা যাবে না। বিজেপি সর্বশক্তি ব্যবহার করলেও আমায় আটকাতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন মডেল কোড অফ কনডাক্টের নাম বদলে মোদি কোড অফ কনডাক্ট রাখুক।’‌ মমতা ব্যানার্জির আরও সংযোজন, আজ কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কোচবিহার যাওয়া হচ্ছে না তাই ভিডিও কলের মাধ্যমে মৃত তৃণমূল কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। নির্বাচন কমিশন পুরো বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে। আর দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মদতেই ঘটছে যাবতীয় কাণ্ডকারখানা। কোচবিহারে যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি করে মারল আমাদের কর্মীদের। এর পিছনে রয়েছে অমিত শাহর প্রত্যক্ষ মদত। তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি করছি আমি। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব মমতা ব্যানার্জির কথাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তৃণমূল হেরে যাবে বলেই এখন মিথ্যা নাটক করছে দাবি বিজেপি নেতাদের। কোচবিহার কাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক তরজা বেড়েই চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *